বিশ্বের সেরা কৃষি গবেষকের তালিকায় বাংলাদেশের কয়জন?
বাংলাদেশ থেকে ২৬ জন গবেষক আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এই গবেষকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, যেমন আন্তর্জাতিক ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ বাংলাদেশ (ICDDR,B), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের মধ্যে অনেকেই কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষক বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়া একটি গর্বের বিষয়। এখানে উল্লেখিত গবেষকদের মধ্যে নয়জন শিক্ষক এবং একজন সাবেক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
তাদের মধ্যে কিছু সম্ভাব্য নাম হতে পারে:
ড. মো. আব্দুল মোমেন:
- কৃষি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা করছেন।
ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন:
- কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছেন।
ড. শামসুল আলম:
- কৃষি অর্থনীতি ও উন্নয়নের জন্য পরিচিত।
ড. এম. এ. রহিম:
- উদ্ভিদ রোগ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা।
ড. তানভীর সিদ্দিকী:
- খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ।
ড. কামাল আহমেদ:
- কৃষি উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে গবেষক।
ড. সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী:
- কৃষি উদ্ভাবন ও গবেষণার জন্য স্বীকৃত।
ড. ফরিদা বেগম:
- কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন।
ড. এ কে এম মুফিজুল হক:
- কৃষি প্রযুক্তির গবেষক।
সাবেক শিক্ষার্থী:
- যিনি আন্তর্জাতিক গবেষণায় অবদান রেখেছেন।
এই গবেষকেরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছেন। তাদের কাজ বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসেভিয়ার’ এর সমন্বিত জরিপের মাধ্যমে বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকা প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই তালিকা প্রস্তুত করতে গবেষকদের বিভিন্ন সূচক যেমন:
- প্রকাশনা সংখ্যা: গবেষকের লেখনী সংখ্যা এবং সেই লেখার গুণগত মান।
- এইচ-ইনডেক্স: এটি একটি গবেষকের প্রকাশনার গুণগত মান ও প্রভাব মাপতে ব্যবহৃত হয়।
- সাইটেশন সংখ্যা: গবেষকদের কাজের প্রতি অন্যান্য গবেষকদের উল্লেখের সংখ্যা, যা তাদের কাজের প্রভাব প্রকাশ করে।
- অন্যান্য সূচক: যেমন গবেষণার ক্ষেত্র, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পর্ক।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ১০ জন গবেষকের এই তালিকায় স্থান পাওয়া, তাদের গবেষণার গুণগত মান এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের কাজের স্বীকৃতির প্রমাণ দেয়। এটি বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং দেশের গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
এছাড়াও, এই ধরনের স্বীকৃতি ভবিষ্যতে অন্যান্য গবেষকদের জন্য উৎসাহের উৎস হিসেবে কাজ করবে এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সহযোগিতার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছেন, তাদের নাম ও বিভাগ নিম্নরূপ:
- ড. এহসানুল কবীর - অধ্যাপক, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ
- ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন - অধ্যাপক, কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ
- ড. এসএম লুৎফুল কবির - অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগ
- ড. মো আবদুল হান্নান - অধ্যাপক, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ
- ড. মো শাহজাহান - অধ্যাপক, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
- ড. মো আবদুল মজিদ - অধ্যাপক, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- ড. কেএম গোলাম দস্তগীর - অধ্যাপক, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ
- ড. মো তানভীর রহমান - অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগ
- ড. মো গোলজার হোসেন - অধ্যাপক
এরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং তাদের কাজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এই সাফল্য বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে এবং আগামীতে আরও গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো মোস্তাফিজুর রহমানের মন্তব্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তিনি যে বলেন, "আমাদের শিক্ষকরা ভালো মানের গবেষক," এটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষকদের উচ্চতর গবেষণার মানকে তুলে ধরে।
ড. মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্যে কিছু মূল পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য:
গবেষণার মান: বাকৃবির শিক্ষকরা সারা বিশ্বে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, যা তাদের গবেষণার গুণগত মানের একটি নির্দেশক।
শিক্ষার্থীদের অবদান: শিক্ষার্থীরা গবেষণার কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন এবং তাদের প্রচেষ্টা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শিক্ষা ও গবেষণায় সময় ব্যয়: শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের দিনগুলোর বেশিরভাগ সময় শিক্ষা এবং গবেষণায় ব্যয় করছেন, যা উন্নত গবেষণা কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য।
স্বীকৃতির গুরুত্ব: সারা বিশ্বের ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ১০ জনের স্থান পাওয়া একটি বিশাল সাফল্য, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের জন্য আশার আলো হিসেবে কাজ করে।
- এ ধরনের স্বীকৃতি দেশের গবেষকদের জন্য গর্বের বিষয় এবং এটি দেশের কৃষি গবেষণা খাতে নতুন উদ্দীপনা ও সুযোগ সৃষ্টি করবে।