গণমাধ্যমে দেখানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা করবেন না : নূরুল হক নূর

গণমাধ্যমে চেহারা দেখানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা করবেন না : নূরুল হক নূর


গণঅধিকার পরিষদের নেতা নূরুল হক নূর এক বক্তব্যে অনুরোধ করেছেন, রাজনৈতিক কর্মীরা যাতে মিডিয়ায় চেহারা দেখানোর জন্য বঙ্গভবনের সামনে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেন। তিনি বলেন, এরকম বিশৃঙ্খলা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজিত করে তোলে এবং জনগণের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নূর বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, নেতাকর্মীদের উচিত জনগণের স্বার্থে দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর গণমাধ্যমে চেহারা দেখানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের আচরণ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। নেতাকর্মীদের উচিত দায়িত্বশীলভাবে আচরণ করা এবং জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। নূর বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে রাজনৈতিক কর্মীদের সঠিক পথে থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা উচিত, যা দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

বুধবার, ২৩ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর মিডিয়ায় চেহারা দেখানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিশৃঙ্খলা না করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে সরানোর প্রয়োজন হলে তা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই করা হবে। অতিউৎসাহী হয়ে কেউ যেন বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলন করে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ছাত্রজনতা। তাদের মধ্যে কিছু আন্দোলনকারী রাত ৮টার দিকে রাস্তায় গাছের শুকনো ডাল ভেঙে এনে আগুন ধরিয়ে দেন এবং রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার চাপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এবং পরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে অতিউৎসাহী ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে সরানোর প্রয়োজন হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তা করা হবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নয়।

সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ সম্পর্কে শুনেছেন, তবে এর কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র তার কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, তিনি অনেকবার চেষ্টা করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ পেতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ধারণা করেন যে, প্রধানমন্ত্রী হয়তো সময় পাননি এটি পাঠানোর জন্য।

এই বক্তব্যের পর সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ছাত্র সমাজের মধ্যে এই অস্পষ্টতার কারণে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url