কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলছে মিরপুর টেস্ট
মিরপুরে শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচটি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের গুরুত্ব বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি। নিরাপত্তা কর্মীরা স্টেডিয়ামের ভেতর এবং বাইরের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি দর্শকদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময়ও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং ম্যাচটি নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দল। তবে খেলা শুরুর আগেই মিরপুর এবং স্টেডিয়ামের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক ম্যাচের মান বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, দর্শকদের নিরাপত্তার জন্যও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মিরপুরে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী বেশ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। যদিও মিরপুর টেস্টে দর্শকদের উপস্থিতি খুবই কম দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা এবং উপস্থিতি যথেষ্ট। গতকাল দিনভর ব্যাপক উত্তেজনা এবং সংঘাতের পর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত থেকেই সেখানে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল।
এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য ছিল মাঠে এবং এর আশপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে এবং খেলোয়াড় ও দর্শকদের সুরক্ষা দেওয়া যায়।
গতকাল মিরপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে সম্মানের সঙ্গে অবসর গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে। তার ভক্তরা আন্দোলনে নেমে এসে সাকিবকে দেশের মাটিতে অবসরের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিসিবির প্রতি এক দফা দাবি জানান।
তারা দাবি করেন যে সাকিবের অবসর অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। দাবিটি না মানলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগেরও দাবি জানান তারা। ভক্তদের এই আন্দোলন পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বাধ্য করে।
সাকিব আল হাসানকে অবসরের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে সাকিব ভক্তদের লংমার্চ সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এরপর সাকিব ভক্তদের সঙ্গে সাকিববিরোধীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ঘণ্টাখানেক ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে, কিন্তু সংঘাতের কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পুরো মিরপুরের পরিবেশকে অস্থির করে তোলে।