অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলো
বর্তমানে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মাহমুদুর রহমানসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের জন্য সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন এবং আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার দাবিটি সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এই প্রস্তাবটি প্রথমে সাবেক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান উত্থাপন করেন।
তিনি ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন এবং সরকারের কাছে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। এতে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানানো হয়।
এই দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এর বিরুদ্ধে মিছিলও হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর অধীনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ছাত্রলীগকে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। সরকার ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, যা গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের মধ্যে ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে
কিছু রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে মাহমুদুর রহমান এই দাবিটি জোরালোভাবে তুলেছেন, ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে তাদের নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর অধীনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, যেমন হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, ও যৌন নিপীড়ন। এইসব অপরাধের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে আদালতেও তা প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষ করে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়, যার ফলে অনেক নিরীহ মানুষ নিহত ও আহত হয়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ"কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এর অধীনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে এবং সংগঠনটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
সরকার প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ছাত্রলীগের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, এবং অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।