শিশুদের সামনে যে কাজগুলো করবেন না

শিশুদের সামনে কিছু কাজ আছে যা থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এদের প্রভাব তাদের আচরণ, মনোভাব এবং বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করা হলো:

শিশুদের সামনে অশ্লীল বা অশালীন ভাষা ব্যবহার তাদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে এবং তারা এই ভাষা শিখে নিতে পারে।


শিশুদের সামনে যে কাজগুলো করবেন না


শিশুদের সামনে ক্রুদ্ধ বা হতাশ হয়ে থাকলে তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে তারা অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা অনুভব করতে পারে।তাদের দক্ষতা বা উপস্থাপনাকে বারবার সমালোচনা করা তাদের আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

শিশুদের সামনে ব্যক্তিগত সমস্যা বা বিবাদ প্রকাশ করা তাদের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।শিশুদের সামনে অন্যদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন করলে তারা মনে করবে যে এটি স্বাভাবিক এবং সামাজিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।খারাপ খাদ্যাভ্যাস, যেমন জাঙ্ক ফুড খাওয়া, তাদের সুস্থতা এবং বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।

সন্তানদের স্বাস্থ্যকর বিকাশের জন্য ফোন ও টিভির ব্যবহারে সচেতনতা অপরিহার্য। যদি আপনার সন্তান আপনাকে ফোন বা টিভির দিকে মনোযোগী থাকতে দেখে, তাহলে তারাও একইভাবে সময় কাটাতে উৎসাহী হবে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের জন্য কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, 

যেমন: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে শিশুদের শারীরিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।স্ক্রিনে বেশি সময় কাটালে মনোযোগ কমে যেতে পারে এবং মানসিক চাপ বাড়তে পারে। পরিবারের সদস্যদের সাথে পর্যাপ্ত সময় কাটানো না হলে শিশুদের সামাজিক দক্ষতা বিকাশে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

তাহলে, ফোন এবং টিভির ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে সন্তানদের কার্যকরী সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি করুন, যেমন বই পড়া, খেলাধুলা বা সৃজনশীল কার্যকলাপ।


সন্তানের সামনে স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়া শিশুর মানসিক এবং সামাজিক বিকাশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুরা খুবই সংবেদনশীল এবং তাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে সবকিছু শিখে থাকে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলি দেখা তাদের জন্য বিভ্রান্তিকর এবং অস্বস্তিকর হতে পারে, এবং এটি তাদের ভবিষ্যতের সম্পর্ক ও আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে।


সন্তানের সামনে স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়া শিশুর মানসিক এবং সামাজিক বিকাশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুরা খুবই সংবেদনশীল এবং তাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে সবকিছু শিখে থাকে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলি দেখা তাদের জন্য বিভ্রান্তিকর এবং অস্বস্তিকর হতে পারে, এবং এটি তাদের ভবিষ্যতের সম্পর্ক ও আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে।

খাবার নষ্ট না করা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা যা শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি শুধু খাদ্যকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার শিক্ষা দেয় না, বরং পরিবেশ সচেতনতা এবং সমাজের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

কেন খাবার নষ্ট করবেন না

খাবার আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। শিশুদের শেখানো উচিত যে খাবার তাদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।খাদ্য নষ্ট করা অর্থের অপচয়। খাদ্য কেনার পেছনে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

শিশুদের বোঝাতে হবে যে খাবার তৈরি ও কেনার জন্য খরচ হয়।খাদ্য নষ্ট হলে কেবল মানব সমাজই ক্ষতিগ্রস্থ হয় না, বরং এটি পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। খাদ্য নষ্ট হলে মাটি, পানি এবং বাতাসের দূষণ ঘটে।

ভদ্রতা বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে যখন সন্তানদের সামনে উপস্থিত হন। শিশুদের আচরণ এবং মানসিক বিকাশে পরিবারের সদস্যদের ভদ্রতা এবং শৃঙ্খলার প্রভাব অপরিসীম।শিশুদের জন্য পিতামাতার আচরণ হলো একটি আদর্শ। আপনার ভদ্রতা এবং সম্মানের উদাহরণ তাদের শেখার প্রক্রিয়ার অংশ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url