ত্রিপুরা রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটারের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ
ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ সীমান্তে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই আদেশের মাধ্যমে ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা মূলত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের উদ্বেগের কারণ হলো বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অবৈধ সীমান্ত পারাপার।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করতে সাহায্য করবে।
ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তে চলাচলের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা আগামী ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফলে, এই সময়ের মধ্যে রাতের বেলা বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের ৫০০ মিটার বরাবর চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই পদক্ষেপ নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য এবং অবৈধ সীমান্ত পারাপার প্রতিরোধে নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারি করা নতুন নিষেধাজ্ঞায় ২১ অক্টোবর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাতে (৮টা থেকে ৫টা) আগরতলা ও মোহনপুর মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটার বরাবর জনসাধারণের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের পেছনে মূল কারণ হলো বাংলাদেশে চলমান বৈরী পরিস্থিতি, যা অতীতে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় যুক্ত। গত দুই মাস ধরে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করেছেন, যার ফলে ত্রিপুরায় তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। এই আন্দোলন ক্রমশ গণ অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যার ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের মুখে পড়ে। এরপর থেকে বাংলাদেশে বহু নাগরিক অবৈধভাবে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করতে শুরু করেন, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, এবং ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে, অবৈধভাবে ভারত প্রবেশের প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং হিন্দুস্তান টাইমস এর প্রতিবেদনে চোখ রাখতে পারেন।
ত্রিপুরা রাজ্য কর্তৃপক্ষ সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক একটি নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করেছেন, যার ফলে আগরতলা এবং মোহনপুর মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটার এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা রোববার থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি অনুপ্রবেশের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতির কারণে, অনেক বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছেন, এবং কিছু লোককে আটকও করা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার সময় ত্রিপুরায় তাদের আটক করা হচ্ছে ।
ত্রিপুরা রাজ্যের জেলা প্রশাসক ড. বিশাল কুমার সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে চলাচল সংক্রান্ত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাত ৮ টা থেকে ভোর ৫ টার মধ্যে সীমান্তের ৫০০ মিটারের মধ্যে কেউ চলাচল করতে পারবেন না। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপের পিছনে মূল কারণ হলো গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশে অস্থিরতার ফলে সীমান্তের মাধ্যমে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়া। ত্রিপুরায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার হওয়ায় এবং অবৈধভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করায় প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক ড. বিশাল কুমার জানিয়েছেন যে সীমান্তে চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে মানুষের জীবনে হুমকি এবং শান্তিতে ব্যাঘাত রোধ করা যায়। তবে নিরাপত্তা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পাবেন।
তিনি উল্লেখ করেন, যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৩ ধারার অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপ মূলত সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।