বিবাহের খুতবা

বিবাহের খুতবা

বিয়ে একটি সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধন, যা শুধুমাত্র দুটি মানুষের মিলনের মাধ্যম নয়, বরং পারিবারিক, মানসিক এবং সামাজিক দিক থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি সমাজে সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তোলে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করে।


বিবাহের খুতবা
"বিবাহের খুতবা: ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব, আধ্যাত্মিক দিক এবং দাম্পত্য সম্পর্কের সৌন্দর্য সম্পর্কে আলোচনা।"

বিবাহের খুতবা হলো ইসলামী বিয়ের সময় দেওয়া একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ বা দোয়া, যা কুরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী বর-কনের জন্য বরকত, সুখ এবং শান্তি কামনায় করা হয়। এটি সাধারণত ক্বাজী বা ইমাম কর্তৃক পরিচালিত হয়।

বিবাহের খুতবার মূল অংশ:

  • আলহামদুলিল্লাহ: আল্লাহর প্রশংসা।
  • দরুদ: নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর শান্তি ও আশীর্বাদ।
  • কুরআনের আয়াত: সূরা আন-নিসা (4:1), সূরা আল-আহযাব (33:70-71) থেকে পাঠ।
  • বিবাহের উদ্দেশ্য: নেক কর্ম, পারস্পরিক সমর্থন এবং ইসলামী জীবনযাপনের গুরুত্ব।

বিয়ের খুতবা কয়টি

বিয়ের খুতবা সাধারণত দুটি অংশে ভাগ করা হয়:

প্রথম খুতবা (ওয়ালিমার খুতবা): এটি বিয়ের প্রাথমিক খুতবা, যা আল্লাহর প্রশংসা, রাসূলের উপর দরূদ পাঠ এবং ইসলামিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে। এতে সাধারণত তিনটি মূল বিষয়ের আলোচনা থাকে: আল্লাহর প্রশংসা ও সাহায্য কামনা। রাসূলের উপর দরূদ ও সালাম। মুসলমানদের জন্য সতর্কবার্তা ও ইসলামের নির্দেশনা।

দ্বিতীয় খুতবা (বিয়ের খুতবা):  দ্বিতীয় খুতবা বিয়ের উদ্দেশ্য, স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব, একে অপরকে সহযোগিতা করা এবং সংসার জীবনের মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করে। এটিও আল্লাহর শ্রদ্ধা, রাসূলের দিকনির্দেশনা এবং মুসলিম জীবনের সংশ্লিষ্ট পরামর্শের সাথে থাকে।

এখন, দুইটি খুতবা পড়া সুন্নত হলেও, কেউ যদি কেবল একটিও পড়েন তবে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে খুতবা আল্লাহর নাম ও রাসূলের প্রতি দরূদ এবং দোয়া পূর্ণাঙ্গভাবে হতে হবে। বিশেষভাবে, দ্বিতীয় খুতবাটি বিয়ের সময় নববিবাহিত দম্পতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিয়ের খুতবা পড়ার নিয়ম

বিয়ের খুতবা পড়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যেগুলি পালন করা সুন্নত। এখানে বিয়ের খুতবা পড়ার সাধারণ নিয়মাবলী দেওয়া হলো:

খুতবা পড়ার আগে অজু করা উত্তম। তবে যদি কেউ অজু না থাকে, তাও খুতবা পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। খুতবা যেন সুস্পষ্ট শোনানো যায়, তাই ভাল করে শোনার জন্য শান্তিপূর্ণ স্থান নির্বাচন করা উচিত। খুতবা কখনোই একেবারে ফাঁকা জায়গায় কিংবা শব্দের মধ্যে হওয়া উচিত নয়।

বিয়ের খুতবা অবশ্যই আরবী ভাষায় পড়তে হবে। তবে, যাদের আরবি না জানা থাকে তাদের জন্য বাংলা বা অন্য ভাষায় উচ্চারণ করা যেতে পারে, তবে মূল খুতবা অবশ্যই আরবীতে হতে হবে। খুতবা ধীরেসুস্থে পড়া উচিত যেন সবাই শুনতে পারে এবং বুঝতে পারে। এটি যেন গতি কিংবা তাড়াহুড়ির মধ্যে না হয়।

খুতবা শুরু করার সময় সবার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপর দরূদ পাঠ করবেন। খুতবার দ্বিতীয় অংশে বিয়ের উদ্দেশ্য, ইসলামের বিধান, বিবাহের গুরুত্ব এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সঠিক পথ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

শেষে বিয়ের খুতবা শেষে দোয়া করতে হবে যাতে নববিবাহিত দম্পতি সুখী ও সফল জীবন অতিবাহিত করতে পারে। শেষে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে এবং নববিবাহিতদের জন্য দোয়া করতে হবে যেন তারা একে অপরের সাথে ভালোবাসা ও সহযোগিতার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে পারে।

বিয়ের খুতবা পড়ানোর সময় অন্তত দুইজন মুসলিম সাক্ষী থাকা জরুরি, যারা শাদী ও বিয়ের কার্যক্রমের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকবে। খুতবা পড়ার সময় শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ভুল উচ্চারণ বা অর্থবোধক ত্রুটি না হওয়ার দিকে মনোযোগী হতে হবে।

এই নিয়মগুলো পালন করে আপনি সঠিকভাবে বিয়ের খুতবা পড়তে পারবেন, যা ইসলামী বিধান অনুযায়ী সঠিক হবে।

খুতবার মাধ্যমে বর-কনেকে তাদের দায়িত্ব ও অধিকার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

আরবি (খুতবা):

إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونؤمن به ونتوكل عليه، ونعوذ بالله من شرور انفسنا ومن سيئات اعمالنا، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له، واشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له، واشهد ان سيدنا ومولانا محمد عبده و رسوله، الذي أُرسل الى الناس كافةً بشيرا ونذيرا، وداعيا الى الله بإذنه سراجا وقمرا منيرا، اما بعد.

فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم، بسم الله الرحمن الرحيم، يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ (سورة آل عمران : 102)

وقال تعالى: يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ، واحِدَةٍ، وخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا ونِسَاءً واتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ والْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا (سورة النساء:1)

وقال تعالى: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا، يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا (سورة الأحزاب: 70-71)

وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا تزوج العبد فقد استكمل نصف الدين فليتق الله في النصف الباقي (صحيح الترغيب والترهيب للامام الالباني رحمه الله)

وقال عليه الصلاة والسلام: النِّكَاحُ من سُنَّتِي فمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَليسَ مِنِّي ، و ايضا قال: تَزَوَّجُوا الوَدُودَ الوَلودَ ، فإني مُكَاثِرٌ بكم الأنبياءَ يومَ القيامةِ (أخرجه أحمد: 13594)


বাংলা উচ্চারণ:

ইন নাহমাদু লিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নাসতাঈনুহু ওয়া নাসতাগফিরুহু, ওয়া নুআউযু বিল্লাহি মিন শুওররি আন্ফুসিনা ওয়া সাইয়িয়িআতি আ’মালিনা, মাঁ ইয়াহদিহি আল্লাহু ফালা মুদিল্লা লাহু ওয়া মাঁ ইউদলিল ফালা হাজিয়া লাহু, আশহাদু আন্না ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না সাইয়িদানা ওয়া মৌলানা মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু, আল্লাজি উর্সিলা ইলাল নাসি কফাতান বশিরান ওয়া নাদিরা, ওয়া দাঈয়ান ইলাল্লাহি বিইযনিহি সিরাজান ওয়া কুমরান মুনিরা, আমা বাদু।

ফা আ’উযু বিল্লাহি মিন শাইতানির রজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম, ইয়া আয়্যুহাল্লাজীনা আমানু ইত্তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়া লা তামুতুন্না ইল্লা ওয়ানতুম মুসলিমুন (সূরা আলে ইমরান : ১০২)

ওয়া ক্বালাল্লাহু তাআলা: ইয়া আয়্যুহান্নাসু ইত্তাকূল্লাহা রাব্বাকুমু আল্লাজী খালাকাকুম মিন নাফসিন ওয়াহিদাতিন, ওয়া খালাকা মিনহা যওজাহা, ওয়া বাসা মিনহুমা রিজালান কাথিরান ওয়ানিসা, ওয়া ইত্তাকুল্লাহা আল্লাজী তাসাআলুনা বিহি ওয়ালআরহাম, ইন্নাল্লাহা কান আলাইকুম রাকীবা (সূরা আন নিসা: ১)

ওয়া ক্বালাল্লাহু তাআলা: ইয়া আয়্যুহাল্লাজীনা আমানু ইত্তাকুল্লাহা ওয়া কূলু কাওলান সাদীদা, ইউস্লিহ্লাকুম আ’মালাকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ধুনুবাকুম, ওয়া মান ইউতী’ইল্লাহা ওয়া রাসূলাহু ফাকাদ ফাযা ফাওযান ‘অযীমা (সূরা আল আহযাব: ৭০-৭১)

ওয়া ক্বালা রাসূলুল্লাহি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: ইযা তাযাওওযাল আবদু ফাকাদ ইস্তাকমাল নুসফাদ্বদিন, ফালইত্তাকুল্লাহা ফি নুসফি আল বাকী (সাহিহুল তারগীব ওয়াত তারহীব লিল ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ)

ওয়া ক্বাল আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: আন নিখাহু মিন সুননাতি, ফামান রাগিবা আন সুননাতি ফা লায়সামিন্নী, ওয়া আইদান ক্বাল: তাযাওওযু আল ওয়াদুদা আলওলুদা, ফইন্নি মুকাতিরুন বেকুম আল-আনবিয়ায়া ইয়াওমাল কিয়ামাহ (আহমদ: ১৩৫৯৪)

বিয়ের খুতবার বাংলা অনুবাদ:

নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁকে প্রশংসা করি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই। আমরা আমাদের নফসের (আত্মার) অকল্যাণ থেকে এবং আমাদের খারাপ কর্মগুলো থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন তাকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারে না, আর আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল।

যিনি মানবজাতির কাছে সুখবর এবং ভীতি প্রদর্শক হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন, আল্লাহর আদেশে তিনি মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য এক দীপ্তিময় সূর্য এবং চাঁদের মতো। আমিন।

আমি শয়তানের শত্রু থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করছি।

সূরা আলে ইমরান : ১০২ - "হে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো যেমনভাবে তাঁকে ভয় করা উচিত এবং মুমিন না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।"

সূরা আন নিসা : ১ - "হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের থেকে অনেক পুরুষ ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে প্রার্থনা করো এবং আত্মীয়তার বন্ধনকে ভূলনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন।"

সূরা আল আহযাব : ৭০-৭১ - "হে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। তিনি তোমাদের কাজগুলো ঠিক করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তারা অবশ্যই বড় সফলতা অর্জন করবে।"

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: "যখন কোনো বান্দা বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে ফেলে। সুতরাং, তাকে অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীনের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করতে হবে।" (সাহিহুল তারগীব ওয়াত তারহীব, ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ)

তিনি আরো বলেছেন: "বিয়ে করা আমার সুন্নত, যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে বিরত থাকে সে আমার অনুসারী নয়। এবং তিনি আরো বলেছেন: 'পছন্দ করুন এমন নারীকে, যে ভালোবাসা ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম। কারণ আমি কিয়ামতের দিনে তোমাদের সংখ্যা দিয়ে অন্য নবীদের তুলনা করব।'" (আহমদ: ১৩৫৯৪)

এটি বিয়ের খুতবার মৌলিক অংশ, যেখানে ইসলামিক শিক্ষাগুলি উল্লেখ করা হয় এবং বিবাহের গুরুত্ব ও এর শর্তাবলী তুলে ধরা হয়।


বিয়ের আরেকটি খুতবা

 এখানে আয়াত এবং হাদিসের বক্তব্যগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশনা এবং নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি বিয়ের সময়ে এক প্রকার পবিত্রতা এবং দাম্পত্য জীবনে সাফল্য ও কল্যাণ কামনা করার প্রার্থনা হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

নিচে বাংলা উচ্চারণসহ খুতবাটি পুনরায় উপস্থাপন করা হলো:

আরবি:

আয়াত:
أَمَّا بَعْدُ! فَيَا أَيُّهَا الْمُسْلِمُونَ! قَالَ اللَّهُ تَعَالَىٰ: وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًا لِّتَسْكُنُوا۟ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍۢ يَتَفَكَّرُونَ (سورة الروم: ٢١)

হাদিস:
وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "النِّكَاحُ مِنْ سُنَّتِي فَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ بِسُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي، وَتَزَوَّجُوا فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمْ الْأُمَمَ."

হাদিস:
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ! مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ."

দোয়াঃ
أَيُّهَا الشَّبَابُ! بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ।

বাংলা উচ্চারণ:

আয়াত:
আম্মা বাদ! ফা-ইয়া আইয়্যুহাল মুসলিমুন! কালাল্লাহু তায়ালা: "ওয়ামিন আয়াতিহি আন-খালাকা লাকুম মিন আনফুসিকুম আযওয়াজান, লিতাসকুনু ইলাইহা, ওয়াজা-আলা বাইনাকুম মাওয়াদ্দাতাও ওরাহমাহ, ইন্না ফি যালিকা লা আ-য়া-তিল লিকাওমিই ইয়াতাফাক্কারুন" (সূরা রূম: ২১)

হাদিস:
ওয়াকালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম: "আন নিকাহু মিন সুন্নাতি, ফামান লাম ইয়াফআল বিসুন্নাতি ফালাইসা মিন্নী। ওয়াতাযাওয়াজু ফা ইন্নি মোকাসিরুন বিকুমুল উমাম।"

হাদিস:
ক্বালা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম: "ইয়া মা-শারাশ শাবাব! মানিস তাত্বায়া মিনকুমুল বাআতা ফালি-য়াতাযাওয়াজ। ফাইন্নাহু আগায্যু লিল বাচারি, ওয়া আহসানু লিল ফারজি, ওমান লাম ইয়াস তাত্বি, ফা আলাইহি বিস সাওম।"

দোয়াঃ
আইয়্যুহাশ শাবাব! বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকা আলাইকা, ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফি খাইর।

এটি সুন্দরভাবে বিয়ের খুতবার সময় উপস্থাপন করা যেতে পারে, এবং এটি বিবাহিত জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করার জন্য উপকারী।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url