বিচ্ছেদ ভুলে এক হচ্ছেন সায়রা-রহমান?

বিচ্ছেদ ভুলে এক হচ্ছেন সায়রা-রহমান? 

এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু দীর্ঘ ২৯ বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পর সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন, যা ভক্তদের জন্য একটি বড় চমক ছিল। তাদের সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে অনেকেই বিস্মিত এবং দুঃখিত, কারণ এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলেন। 


ডিভোর্স ভুলে এক হচ্ছেন সায়রা-রহমান
"বিচ্ছেদ ভুলে এক হচ্ছেন সায়রা-রহমান? তাদের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত?"

এ আর রহমান, যিনি বিশ্বব্যাপী তার সুর এবং সংগীতের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, এবং সায়রা বানু একে অপরের প্রতি নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল।

এই বিচ্ছেদের ঘোষণা তাদের ভক্তদের মধ্যে নানা রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, এবং মিডিয়া এ বিষয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ছড়িয়ে দিয়েছে। যদিও রহমান এবং সায়রা কোনো ব্যক্তিগত মন্তব্য করেননি, তবে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের পেছনে নানা ধরনের মতামত প্রকাশ করছেন।

ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি এ আর রহমানের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খোলেন তার আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, "আমি তো কখনও বলিনি ওদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি।"

বন্দনা শাহের এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি সম্পর্কের মধ্যে কোনো নেতিবাচকতা দেখতে চান না এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই ভালোবাসা ও রোমান্সের গুরুত্ব বজায় থাকবে। এর মানে হতে পারে যে, তিনি বিচ্ছেদের পরেও সম্পর্কের পুনরুদ্ধার বা কোনো ধরণের সুস্থ যোগাযোগের সুযোগের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন।

বন্দনা শাহ আরও বলেছেন, "সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার। সেখানে তাদের কষ্ট এবং বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য তাদের, তাই অনেক ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু আমি তো এর মাঝে কখনও বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়।"

বন্দনার এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, তিনি বিবাহবিচ্ছেদকে শুধুমাত্র একটি দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে দেখছেন এবং সম্পর্কের পুনর্মিলন সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। তিনি তাদের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি দেখার কথা বলেছেন।

এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর বিচ্ছেদ নিয়ে বর্তমানে একের পর এক প্রশ্ন উঠছে, বিশেষ করে তাদের সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে। আইনজীবী বন্দনা শাহ জানিয়েছেন, "সায়রা এবং রহমান কেউ এখনও সেটা ঠিক করেননি। সন্তানরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক, তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মা না বাবার কাছে থাকবে।"

এছাড়া, ১৯৯৫ সালে রহমান এবং সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল, এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটা দেখাশোনার ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। দীর্ঘ ২৯ বছর একসঙ্গে কাটানোর পর তারা তিনটি সন্তানের অভিভাবক হয়েছেন—খাতিজা, রহিমা, এবং আমিন। খাতিজার বিয়ে হয়ে গেছে, এবং এই দীর্ঘ সময়ের পরে, সন্তানরা এখন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায়, তাদের সিদ্ধান্তই মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর বিচ্ছেদের পেছনের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, রহমান নিজের এবং সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন, যেখানে তারা জানিয়েছেন, "দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু তা পূর্ণ হয়নি।"

এই বিবৃতি থেকে বোঝা যায় যে, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরেও তাদের মধ্যে কিছু অসম্পূর্ণতা বা অমিল ছিল, যা শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে গেছে। বিবৃতিটি মূলত তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং দাম্পত্য সম্পর্কে কিছু গোপনীয়তা প্রকাশ করেছে, তবে এর বাইরে আর কোনো বিস্তারিত কারণ প্রকাশ করা হয়নি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url