বিয়ের জন্য শর্ত কি কি?
বিয়ে (ইসলামে: নিকাহ) মুসলিম সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র সম্পর্ক যা দুটি মানুষের মধ্যে আল্লাহর অনুমোদিত এবং ধর্মীয় দৃষ্টিতে বৈধ সম্পর্ক তৈরি করে।
|
"বিয়ের জন্য শর্ত: ইসলামের দৃষ্টিতে বৈবাহিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় শর্ত ও শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।" |
বিয়ের জন্য ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কিছু শর্ত রয়েছে, যা পালন করা আবশ্যক। সেগুলো হলো:
মেয়ের জন্য পরিপক্বতা (ব্যালেগ) হতে হবে, অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। সাধারণত, মেয়ের বয়স ১৮ বা তার উপরে হওয়া উচিত। ছেলের জন্যও বয়সের সীমা থাকা উচিত, এবং সে পরিপক্ব (মুবারক) হতে হবে। মেয়ের সম্মতি: বিয়েতে মেয়ের সম্মতি থাকা বাধ্যতামূলক। তার ইচ্ছা ছাড়া বিয়ে করা ইসলামি শরীয়তে বৈধ নয়। তবে, মেয়েকে সম্মতি দেওয়ার জন্য বাধ্য করা উচিত নয়। ছেলের সম্মতি: ছেলেও বিয়েতে সম্মতি প্রদান করতে হবে।
মেয়ের বিয়েতে একজন ওয়ালী (অভিভাবক) থাকতে হবে। সাধারনত, মেয়ের বাবা বা কোনো নিকট আত্মীয় (যেমন ভাই বা চাচা) তার ওয়ালী হতে পারে। যদি মেয়ের বাবা জীবিত না থাকে, তবে অন্য কোনো মুসলিম পুরুষ সদস্যকে তার ওয়ালী হতে হবে। বিয়েতে মেয়েকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মাহর (মুলুক) দিতে হবে, যা বিয়ের চুক্তিতে উল্লেখ করতে হয়। এটি মেয়ের জন্য তার অধিকার এবং মুসলিম সমাজে একজন নারীর সম্মান রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ের সময় কমপক্ষে দুটি সাক্ষী থাকতে হবে। তারা ইসলামীভাবে সৎ, নির্দোষ এবং বিয়ের প্রমাণ হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করবে। বিয়েটি অবাধ ও বাধ্যবাধকতা ছাড়া হতে হবে। অর্থাৎ, কোনো পক্ষ যেন অন্য পক্ষকে জোরপূর্বক বা চাপ দিয়ে বিয়ে করতে না বাধ্য করে। বিয়ের জন্য একটি বিয়ের চুক্তি (নিকাহনামা) সম্পাদিত হতে হবে, যেখানে বিয়ের সকল শর্ত ও মাহর উল্লেখ থাকবে।
বিয়েতে মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী হতে হবে। মুসলিম পুরুষ অন্য ধর্মের নারীকে বিয়ে করতে পারেন, তবে মুসলিম নারীর জন্য কেবল মুসলিম পুরুষই বৈধ। বিয়ের মৌলিক উদ্দেশ্য হল দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করা, যা পরিবার প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হওয়া উচিত। যদি পূর্ববর্তী বিয়ে থেকে কোনো বিবাহিত নারী বিয়ে করেন, তবে তার ইদ্দত (অপেক্ষা) শেষ হওয়ার পর নতুন বিয়ে করা উচিত।
বিয়েতে কোনও রকম কোনো অবৈধ সম্পর্ক বা সামাজিক প্রতিবন্ধকতা (যেমন নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে) থাকতে পারবে না। এই শর্তগুলো ইসলামী শরীয়তের মধ্যে রয়েছে এবং একটি বৈধ ও শুদ্ধ বিয়ে সম্পাদন করার জন্য সেগুলি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামে বিয়ে কিভাবে পড়ানো হয়?
ইসলামে বিয়ের খুতবা পড়ানোর নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যা বিয়ের চুক্তি বা নিকাহ অনুষ্ঠানে বলা হয়। এটি দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত—একটি খুতবা (বিয়ের ভাষণ) এবং বাকি কার্যক্রম (যেমন, মাহর নির্ধারণ, সাক্ষীর উপস্থিতি ইত্যাদি)। এখানে বিয়ের খুতবা পড়ানোর প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
বিয়ের খুতবা শুরু করার আগে নিয়ত করতে হবে যে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিয়েটি সম্পাদন করা হচ্ছে।বিয়ের খুতবা সাধারণত আলহামদুলিল্লাহ, দুআ এবং কিছু নির্দিষ্ট আয়াত বা হাদিস দিয়ে শুরু হয়। যেমন: আলহামদুলিল্লাহ (অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য) নাশরিতু ফি ইত্তেকাইল্লাহ (আমরা আল্লাহর উপর ভরসা রাখি) এরপর সূরা আল-ফাতিহা বা নাযিল আয়াত পাঠ করা হতে পারে।
এর পরবর্তী অংশে, সাধারণত বিয়ের উপদেশ হিসেবে কিছু ধর্মীয় উপদেশ এবং আল্লাহ ও রাসূলের শিক্ষা দেওয়া হয়। খুতবায় কিছু নির্দিষ্ট আয়াত বা হাদিস থাকতে পারে, যেমন: সূরা রূম: ২১: “ওয়ামিন আয়াতিহি আন-খালাকা লাকুম মিন আনফুসিকুম আযওয়াজান লিতাসকুনু ইলাইহা...” হাদিস: “আন নিকাহু মিন সুন্নাতি...” (বিয়ে আমার সুন্নাতের অংশ, তাই যারা এটি অনুসরণ করবে, তারা আমার সঙ্গে থাকবে)। খুতবায় ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের গুরুত্ব, পারিবারিক জীবন, এবং স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্কের আদর্শ তুলে ধরা হয়।
এরপর বিয়ের চুক্তির জন্য দুটি সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে। তারা আল্লাহর নামে উপস্থিত থাকার মাধ্যমে চুক্তি সাক্ষ্য দিবে। বিয়ে দুটি পক্ষের সম্মতিতে হতে হবে—পাত্র ও পাত্রী। পাত্র পক্ষকে নিজ দায়িত্বে মেয়ের পরিবারকে সম্মতি জানাতে হবে।
মাহর (দেনা) নির্ধারণও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি মেয়ের অধিকার, যা বিয়ের সময় নির্ধারিত হয় এবং পাত্র পক্ষ মেয়েকে দেবে। মাহরটি চুক্তির মধ্যে উল্লেখ করা হয়।
পাত্র এবং পাত্রী "কবুল" (সাক্ষ্য) শব্দ দ্বারা বিয়েতে সম্মতি প্রদান করবে, যা বিয়ের চূড়ান্ত অংশ। পাত্র ও পাত্রী আল্লাহর নামে সম্মতি জানিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করবে। এরপর তারা মাহর প্রদান করতে পারবে, যেটি সাধারণত পরবর্তীতে দেওয়া হয়।
বিয়ের খুতবা শেষে, সাধারণত কিছু দু'আ পাঠ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- বারাকাল্লাহু লাক (আল্লাহ আপনার জন্য বরকত দিন)
- ওয়া বারাকা আলাইক (আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন)
- ওয়া জামা' আ বাইনাকুম ফি খাইর (আল্লাহ আপনাদের মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি দিন)
খুতবা শেষে, যদি কোনো বক্তৃতা বা উপদেশ থাকে, তা সাধারণত বিয়ের জন্য কিছু বিশেষ উপদেশ হতে পারে, যা দাম্পত্য জীবনের শুরুতে মূল্যবান হতে পারে। খুতবা শেষ হওয়ার পর, নিকাহ চুক্তি সম্পন্ন হয়, এবং তা সঙ্গতিপূর্ণভাবে সমাজে ঘোষণা করা হয়। তারপর বর ও কনে দাম্পত্য জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেন।
বিয়ের খুতবায়, দুইজন সৎ ও সাক্ষী (যারা ইসলামিকভাবে বৈধ) উপস্থিত থাকতে হবে। তাদের উপস্থিতি ও সাক্ষ্য বিয়েকে বৈধ এবং শুদ্ধ করে তোলে। এটি ছিল বিয়ের খুতবা পড়ানোর প্রক্রিয়া, যা ইসলামে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে পড়তে হয়।
বিয়ে পড়ানোর সময় কি কি বলতে হয়?ইসলামে বিয়ে পড়ানোর সময় কিছু নির্দিষ্ট কথা বলা হয়, যা বিয়ের খুতবায় এবং নিকাহ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই কথাগুলি ধর্মীয় শিক্ষা, পাত্র-পাত্রীর সম্মতি এবং ইসলামী নৈতিকতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। সাধারণত বিয়ের খুতবা পড়ানোর সময় নিচের বিষয়গুলো বলা হয়:
আলহামদুলিল্লাহ
এরপর, দুআ পাঠ করা হয় যাতে আল্লাহ তাআলা বিয়েটিকে সফল, শান্তিপূর্ণ ও শুভ করে তোলেন। এরপর ইসলামের শিক্ষার আলোকে কিছু উপদেশ দেওয়া হয়, যা পাত্র-পাত্রীর জন্য সহায়ক।
সূরা রূম ২১: "ওয়ামিন আয়াতিহি আন-খালাকা লাকুম মিন আনফুসিকুম আযওয়াজান লিতাসকুনু ইলাইহা..." (এটি আল্লাহর আয়াত, যিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে স্ত্রীরা সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা একে অপরের সাথে শান্তি ও ভালোবাসায় বাস করো।)
হাদিস: “আন নিকাহু মিন সুন্নাতি, ফামান লাম ইয়াফআল বিসুন্নাতি ফালাইসা মিন্নী।” (বিয়ে আমার সুন্নাত, যে কেউ আমার সুন্নাত অনুসরণ করবে, সে আমার সাথে থাকবে।) খুতবার পর, বিয়ের চুক্তি বা নিকাহ ঘোষণা করা হয়। পাত্র এবং পাত্রী একে অপরকে কবুল (স্বীকার) বলেন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
নির্দিষ্ট কথা: পাত্র এবং পাত্রী উভয়কে একে অপরকে কবুল (স্বীকার) বলতে হবে। উদাহরণ: "আমি তোমাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করছি এবং এই চুক্তিতে সম্মতি জানাচ্ছি।" তারপর, পাত্র পক্ষ থেকে মাহর (দেনা) নির্ধারণ করা হয়, যা কনের অধিকার। মাহর অবশ্যই সম্মত হতে হবে।
বিয়ের খুতবার শেষে, একটি দু'আ পাঠ করা হয় যা নব দম্পতির জন্য কল্যাণ ও দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তি কামনা করে।বারাকাল্লাহু লাকা (আল্লাহ আপনাকে বরকত দিন) ওয়া বারাকা আলাইকা (আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন) ওয়া জামা' আ বাইনাকুম ফি খাইর (আল্লাহ আপনাদের মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি দিন)
বিয়ের সব কিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, খুতবা শেষ হয়। নব দম্পতি একে অপরের সাথে জীবনযাপন শুরু করেন এবং এটি সমাজে ঘোষণা করা হয়। এভাবে, ইসলামী নিয়মে বিয়ের সময় এই কথাগুলোর মাধ্যমে বিয়েটি একটি ধর্মীয় ভিত্তি ও সম্মতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।
মসজিদে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম
মসজিদে বিবাহ (নিকাহ) পড়ানোর জন্য ইসলামী নিয়মাবলী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদে বিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে যা ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী পালন করা হয়। নিচে মসজিদে বিবাহ পড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম এবং পদক্ষেপ দেওয়া হলো:
মসজিদে বিবাহ পড়ানোর জন্য একজন পাকা মোল্লা বা ইমাম নির্বাচন করতে হবে, যিনি ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে পড়াতে জানেন। মোল্লা বা ইমামকে অবশ্যই ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন ও সৎ হতে হবে। বিয়ের আগে, পাত্র এবং পাত্রীর পক্ষ থেকে সম্মতি নেওয়া জরুরি। ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী, তাদের সম্মতি ও ইচ্ছা ছাড়া বিয়ে করা বৈধ নয়। পাত্র এবং পাত্রীর সম্মতির জন্য তাদের উপস্থিতিতে বিয়ের খুতবা পড়ানো হয়।
মসজিদে বিয়ে পড়ানোর জন্য বিয়ে খুতবা পড়তে হয়। এই খুতবাটি ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ: প্রথমে আলহামদুলিল্লাহ (সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য) এবং তার পরে কালিমা বা আয়াত পাঠ করা হয়। এরপর, পাত্র-পাত্রীর জন্য ভালোবাসা, সহনশীলতা এবং দাম্পত্য জীবনের নৈতিকতার বিষয়ে কিছু উপদেশ দেওয়া হয়। সূরা রূম (২১) এর আয়াত এবং হাদিস: "আন নিকাহু মিন সুন্নাতি, ফামান লাম ইয়াফআল বিসুন্নাতি ফালাইসা মিন্নী" - (বিয়ে আমার সুন্নাত, যে এটি অনুসরণ করবে সে আমার সাথে থাকবে)।
এরপর, নিকাহ চুক্তি (বিয়ের চুক্তি) পড়ানো হয়, যেখানে পাত্র এবং পাত্রী একে অপরকে কবুল (স্বীকার) বলেন। পাত্র এবং পাত্রী একে অপরকে কবুল (আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করছি) বলতে হবে। পাত্র-পাত্রীর সম্মতির পর, মসজিদে উপস্থিত সবার সামনে এটি ঘোষণা করা হয়।
ইসলামে মাহর (স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দেনা) একটি মৌলিক অধিকার। বিয়ের সময় এটি উল্লেখ করতে হয় এবং এটি স্ত্রীর অধিকার। মাহর একে অপরের সম্মতির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় এবং এটি পরিশোধের জন্য চুক্তি করা হয়।
খুতবা শেষে, নব দম্পতির জন্য একটি বিশেষ দোয়া করা হয় যাতে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী ও সফল হয়। উদাহরণস্বরূপ: বারাকাল্লাহু লাকা (আল্লাহ তোমাকে বরকত দিন) ওয়া বারাকা আলাইকা (আল্লাহ তোমার উপর বরকত দিন) ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফি খাইর (আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি দিন)
মসজিদে বিবাহ পড়ানোর জন্য গোয়েন্দা শর্তাবলী যেমন, প্রত্যেক পক্ষের বয়স, সম্মতি, মাহর (দেনা) এবং পাত্র-পাত্রীর মিশ্রণ শুদ্ধ হতে হবে। সাধারণত, দুই সাক্ষী উপস্থিত থাকেন, যারা বিবাহের বৈধতা ও শর্তাবলী নিশ্চিত করতে সহায়তা করেন।
মসজিদে বিবাহ পড়ানোর পর, নব দম্পতির পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য সামাজিক আয়োজন হতে পারে, যেখানে তাদের পরিবারের সদস্যরা, বন্ধু এবং মসজিদ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকতে পারেন। বিয়ের চূড়ান্ত পর্বে, মাহরের অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে বিয়ের নিষ্পত্তি করা হয়। এভাবে, মসজিদে ইসলামী নিয়ম অনুসারে বিবাহ পড়ানো হয়, যা ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী বৈধ ও সঠিক।
বিয়ের সুন্নত কয়টি ও কি কি?
ইসলামে বিয়ের কিছু সুন্নত রয়েছে, যেগুলি বিবাহের সময় পালন করা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সুন্নতগুলি ইসলামী জীবনযাত্রার একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এগুলি পালন করলে দাম্পত্য জীবনে সাফল্য ও বরকত আশা করা যায়।
বিয়ের সুন্নতগুলো নিচে দেওয়া হলো: "নিকাহ আমার সুন্নত। যিনি এটি পালন করবেন না, সে আমার অনুসরণকারী নয়।" "তোমরা বিয়ের সময় মহর নির্ধারণ করো, কারণ এটি স্ত্রীদের অধিকার।" একজন মুসলিম পুরুষকে যদি তার ইচ্ছামত একটি মেয়ে বিয়ে করতে চান, তবে তার পক্ষ থেকে মেয়ে এবং তার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া সুন্নত।
"বিয়ের দিন তোমরা আনন্দিত হও, কারণ এটা তোমাদের জন্য এক বড় নিয়ামত।" দোয়া করা, বিয়ের পর, স্ত্রী ও স্বামী উভয়কেই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে, এবং তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক শুদ্ধভাবে হওয়া সুন্নত। "যে বিয়ে সহজ করবে, সে সবচেয়ে ভালো করবে।"
এগুলো হলো ইসলামে বিয়ের সুন্নত। যেহেতু বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানজনক সম্পর্ক, এর মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেরা পারিবারিক জীবন এবং সমাজের সাথেও সুন্দরভাবে সংযুক্ত থাকে।