জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার আটক
শমী কায়সার, ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি এবং ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আটক হয়েছেন। তাকে ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শমী কায়সারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিতর্ক রয়েছে, এর মধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগও রয়েছে, যার ফলে তার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম এবং বিতর্কের কারণে তিনি মিডিয়াতে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে শমী কায়সারকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসময় তাকে আটক করে এবং এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান সময় সংবাদকে শমী কায়সারের আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই শমী কায়সার বিভিন্ন বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ রয়েছে যে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই মামলা এবং শমী কায়সারের অন্যান্য বিতর্কিত কার্যক্রম তার পাবলিক ইমেজে প্রভাব ফেলেছে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক চর্চায় তাকে বিতর্কিত করেছে।
শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে একজন ব্যক্তি।
শমী কায়সার, যিনি নব্বইয়ের দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন, গত ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ক্যাবের (কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার রাজনৈতিক জীবনেরও উল্লেখযোগ্য কিছু দিক রয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, তিনি ওই আসন থেকে মনোনয়ন পাননি।