মেসিকে নিয়ে পাওলো গেরেরো গুরুতর অভিযোগ

মেসিকে নিয়ে পাওলো গেরেরো গুরুতর অভিযোগ

পারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের পরাজয়টি বেশ আলোচিত হয়েছে, বিশেষত লিওনেল মেসির রেফারির প্রতি ক্ষোভজনক আচরণের জন্য। ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ, যেখানে আর্জেন্টিনা জয়লাভের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং ফাউলের কারণে আর্জেন্টিনা ম্যাচটি হারায়। মেসি রেফারির প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং আঙুল তুলে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান জানান।

মেসিকে নিয়ে পাওলো গেরেরো গুরুতর অভিযোগ
"মেসিকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুললেন পাওলো গেরেরো, দাবি – 'আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে রেফারি পক্ষপাতিত্ব করেছেন, মেসিকে স্পর্শ করলেই ফাউল, আমাদের ফাউল উপেক্ষা করা হয়েছে।'"

এমন পরিস্থিতি অবশ্য মেসির জন্য নতুন নয়, কারণ অনেক সময়ই তিনি মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তবে, মেসির মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের জন্য এমন পরিস্থিতি উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে আর্জেন্টিনাকে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

পারাগুয়ে ম্যাচে মেসির আঙুল তুলে রেফারির প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শনের পর আর্জেন্টিনা দলের জন্য রেফারি সংক্রান্ত বিতর্ক আরও জটিল হয়ে ওঠে। প্যারাগুয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের কড়া ট্যাকলের পরও রেফারি ফাউল না দেওয়ায় মেসি আক্রমণাত্মক ভাষায় ওই খেলোয়াড়কে "কাপুরুষ" বলেছিলেন। এর পরবর্তী সময়ে পেরুর বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ম্যাচে কলম্বিয়ান রেফারি উইলমার রোলদান যে অতিরিক্ত সতর্ক ছিলেন, তা একটি সম্ভবনা হতে পারে, কারণ মেসি এবং আর্জেন্টিনা দল আগের ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

পেরু ম্যাচে মেসি আর ক্ষুব্ধ ছিলেন না, তবে পেরু অধিনায়ক পাওলো গেরেরো ক্ষুব্ধ হয়েছেন রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে। তিনি রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সিদ্ধান্তগুলি পেরুর পক্ষে ছিল না, বিশেষত ফাউল এবং অফসাইডের বিষয়ে।

এটি স্পষ্ট যে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মতো বড় ম্যাচগুলিতে রেফারি সিদ্ধান্তগুলি দলের মনোভাব এবং ম্যাচের ফলাফলে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, খেলোয়াড়দের সতর্ক এবং পেশাদার থাকা প্রয়োজন, যাতে রেফারি বা কোনও বাহ্যিক কারণে তাদের মনোভাব ক্ষুণ্ন না হয় এবং দল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।

আর্জেন্টিনা এবং পেরুর মধ্যে ১-০ গোলের জয়ে পেরু দল বেশ ক্ষুব্ধ ছিল রেফারি উইলমার রোলদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে। পেরু অধিনায়ক পাওলো গেরেরো ম্যাচের পর অভিযোগ করেছিলেন যে, রেফারি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে স্পর্শ করলেই ফাউল দিয়ে দেন এবং রেফারি পেরুর বিপক্ষে পক্ষপাতিত্ব করেছেন।

এই ম্যাচে পেরু দল ১৮টি ফাউল শুনতে বাধ্য হয়েছিল, যেখানে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ১০টি ফাউল ছিল। ম্যাচে তিনটি হলুদ কার্ডের প্রত্যেকটি পেরুর খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ছিল, যা দলের জন্য বেশ অস্বস্তিকর ছিল। গেরেরোর অভিযোগ ছিল যে, মেসি প্রায়ই স্পর্শ পেলে ফাউল দেওয়া হচ্ছিল, যা আর্জেন্টিনার পক্ষপাতিত্বের প্রতিফলন।

এই ধরনের বিতর্কিত রেফারিং সিদ্ধান্ত কোনো ম্যাচের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং খেলোয়াড়দের মনোভাবেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত যখন কোনো দলের অধিনায়ক, যেমন মেসি, বারবার ফাউল পেয়ে থাকেন এবং অন্যদিকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে রেফারি কঠোর হয়ে থাকেন, তখন তা দলের মনোবলকে প্রভাবিত করতে পারে।

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর পেরুর ৪০ বছর বয়সী অধিনায়ক পাওলো গেরেরো আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা কঠিন। প্রতিটি ছোঁয়াই ছিল রেফারির কাছে ফাউল। কিন্তু আমাদের ফাউল করলেও তা দেওয়া হয়নি। কেমন ছিল সবাই দেখেছে।”

গেরেরোর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, রেফারি উইলমার রোলদানের সিদ্ধান্তের প্রতি পেরু দলের অসন্তোষ ছিল। পেরু ফাউল করলেও রেফারি অনেক সময় সেগুলো না দিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন গেরেরো। তার মতে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের প্রতি এক ধরনের বিশেষ আচরণ ছিল রেফারির, যা পেরুর জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করেছে।

এ ধরনের পরিস্থিতি কখনও কখনও ম্যাচের ফলাফলের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে, এবং এটি খেলোয়াড়দের মনোবলকেও প্রভাবিত করে। তবে, গেরেরো ও পেরু দলকে পরবর্তী ম্যাচগুলির জন্য আরও মনোযোগী ও প্রস্তুত হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পেরুর অধিনায়ক পাওলো গেরেরো আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলের হারের পর রেফারির বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি করেছেন। আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, "আমাদের মেরে খেললেও কোনও ফাউল ডাকা হয়নি। মেসিকে আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলেই আমাদের বিরুদ্ধে ফাউল ডাকা হয়েছে। এটা খেলাকে কঠিন করে তুলেছিল, কারণ এটা বাধাগ্রস্ত করার মতো ব্যাপার।"

গেরেরো তার অভিযোগে রেফারির পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার প্রতি পক্ষপাতিত্বের কথা তুলে ধরেছেন। তার মতে, যখন পেরু দলের খেলোয়াড়রা আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ফাউল করছিলেন, তখন রেফারি তা অগ্রাহ্য করছিলেন। তবে, মেসি বা আর্জেন্টিনার অন্য খেলোয়াড়রা স্পর্শ পেলেও দ্রুত ফাউল দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। গেরেরো এই পরিস্থিতিকে খেলার সুষ্ঠুতা এবং ন্যায্যতা লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন, যা পেরু দলের জন্য ম্যাচটি আরও কঠিন করে তুলেছিল।

এ ধরনের অভিযোগ কোনো ম্যাচে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশেষত আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে রেফারির সিদ্ধান্ত বড় ভূমিকা রাখে। এই পরিস্থিতিতে গেরেরো ও পেরু দল অবশ্যই রেফারি সিদ্ধান্তের প্রতি আরও ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং খেলার মাঠে নিজেদের খেলার মান বজায় রাখতে হবে।

পেরুর অধিনায়ক পাওলো গেরেরো আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলের হারের পর মেসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। গেরেরো দাবি করেছেন, "মেসিকে আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলেই আমাদের বিরুদ্ধে ফাউল ডাকা হয়েছে, কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়রা আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ফাউল করলেও তা রেফারি উপেক্ষা করেছেন।" তার এই অভিযোগে স্পষ্ট যে, মেসির প্রতি রেফারির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ আচরণ ছিল এবং এটি পেরু দলের জন্য খেলার সুষ্ঠুতা লঙ্ঘন করেছিল।

এছাড়া, গেরেরো আরও বলেছেন যে, পেরু দলের খেলোয়াড়রা যখন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের প্রতি আক্রমণাত্মক ছিল, তখন রেফারি ফাউল দেয়নি, কিন্তু মেসি বা অন্য আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা স্পর্শ পেলেই ফাউল ডাকা হচ্ছিল। তার মতে, এটি পেরু দলের জন্য একটি বড় বাধা ছিল এবং খেলার শুদ্ধতা ও ন্যায্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।

গেরেরোর এই অভিযোগ, বিশেষত মেসির সঙ্গে সম্পর্কিত, ফুটবল বিশ্বে অনেক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। রেফারি কর্তৃক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে প্রতিটি দলই বিরক্ত হতে পারে, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে খেলার সুষ্ঠুতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url