নাসুমের বাজিমাত, সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ

নাসুম আহমেদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় ছিল দারুণ স্মরণীয়। ব্যাটে ও বলে তার অবদান ছিল অপরিসীম। বোলিংয়ে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে নিজের সীল মেরে দিয়েছেন, আর ব্যাটিংয়ে ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলে দলের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

নাসুমের বাজিমাত, সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ক্রিকেট দল এক অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সমতায় ফিরেছে, যেখানে নাসুম আহমেদ তার দক্ষ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরে আসতে সহায়তা করেছেন। তার এই বাজিমাত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এবং বাংলাদেশের জন্য একটি বড় জয় এনে দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

বোলিংয়ে, নাসুম আফগানদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলেন। তার দুর্দান্ত স্পিন এবং সঠিক লাইন-লেংথ ব্যবহারের কারণে আফগানিস্তান বড় স্কোর গড়তে পারেনি। মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে মিলিতভাবে নাসুম বাংলাদেশকে দুর্দান্ত ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে।

অন্যদিকে, ব্যাটিংয়ে তার পারফরম্যান্সও ছিল প্রশংসনীয়। তিনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার পাশাপাশি ইনিংসটি ধরে রাখার জন্য খেলার গতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।

এভাবে, নাসুম আহমেদ ব্যাট এবং বলে তার প্রভাব বিস্তার করে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন, যা বাংলাদেশকে সিরিজে সমতায় ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন শেষ ওয়ানডেতে সিরিজ জয় করার জন্য বাংলাদেশের হাতে দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।

এক বছর পর বাংলাদেশ দলে ফিরে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন নাসুম আহমেদ। ব্যাট হাতে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর বল হাতে তিনি যে ভাবে ম্যাচের রাশ ধরেন, তা অবিশ্বাস্য। তার অগ্রণী ভূমিকার ফলে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ জয় পেয়েছে এবং সিরিজে সমতা অর্জন করেছে।

নাসুম আহমেদের ২৫ রানের ইনিংসটি দলকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছে, বিশেষ করে যখন রান তাড়া করার চাপ ছিল। এরপর বল হাতে তার স্পিন জাদু, সঠিক লাইন-লেংথ এবং তার বোলিংয়ের মনস্তাত্ত্বিক কৌশল আফগান ব্যাটসম্যানদের কষ্টে ফেলেছে। তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছেন, যার ফলে আফগানিস্তান বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এভাবে, নাসুম আহমেদ তার দ্যুতি ছড়িয়ে দলকে একটি স্বস্তির জয় উপহার দিয়েছেন। তার পারফরম্যান্স বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এক বছর পর দলে ফিরে এমন সফলতা তাকে ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

শারজাহর শনিবার (০৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। ২৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে থেমে যায়।

বাংলাদেশের বোলিং পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য, যেখানে নাসুম আহমেদ ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। তার স্পিন বোলিং আফগানদের ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছিল। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন, তাদের বোলিংয়ে গতি ও বৈচিত্র্য ছিল বেশ কার্যকরী।

এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়, কারণ প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই জয়টি দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আগামী ম্যাচে সিরিজ জয়ের জন্য তারা প্রস্তুত।

বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বস্তির জয়। টানা ৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারের পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়টি পেয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ সমতায় ফিরে এসেছে, যা দলের আত্মবিশ্বাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আফগানিস্তান যখন রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও, ১৮ রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারানোর পর তারা দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বেশ কিছু সময় তাদের হাতে ছিল। ২৮.৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান তাদের ঝুলিতে ছিল। রহমত শাহ এবং সেদিকুল্লাহের মধ্যে ৫২ রানের জুটি ছিল দলের জন্য শক্তিশালী ভিত্তি, এবং হাশমতউল্লাহর সঙ্গেও তারা প্রায় ৫০ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে ফেলছিলেন।

তবে এরপর নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানিস্তান শুরুর শক্তির পরও লড়াইয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় এবং শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে থামে। বাংলাদেশ বোলিং বিভাগের ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকরী পারফরম্যান্সই এই জয়টি নিশ্চিত করেছে।

এই জয় বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার প্রত্যাবর্তন ছিল, যা তাদের সিরিজে সমতা এনে দেয় এবং পরবর্তী ম্যাচে সিরিজ জয় করার জন্য তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

সেদিনের ম্যাচে হাশমতউল্লাহ শেহমারির আউটটি আফগানিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। ২৯তম ওভারের শেষ বলটিতে মুস্তাফিজুর রহমানের করা ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। 

৪০ বলে ১৭ রানে থেমে যান হাশমতউল্লাহ, যার ফলে রহমত শাহের সঙ্গে তার ৪৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। এই আউটটি ছিল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত, কারণ হাশমতউল্লাহ ছিলেন আফগানিস্তানের একমাত্র অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, যারা বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছিলেন।

এরপর পরের ওভারে নাসুম আহমেদ এসে তার স্পিন জাদু দেখান। তিনি দ্বিতীয় বলেই নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (০) বোল্ড করে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। এই আউটটি আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে চাপ সৃষ্টি করে এবং বাংলাদেশকে ম্যাচে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়। নাসুমের এই দুর্দান্ত আক্রমণ এবং হাশমতউল্লাহর উইকেটটি বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করার পথে এক বড় বাঁক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল।

এই মুহূর্তটি ছিল টার্নিং পয়েন্ট, যেখানে আফগানিস্তানের আশা ভেঙে গিয়ে বাংলাদেশ তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় নিশ্চিত করে।

আফগানিস্তান যখন পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে, তখন রহমত শাহ ও গুলবাদিন নাইবের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আরও একটি উইকেট পড়ে যায়। রহমত শাহ রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন, ৭৬ বলে ৫ চারের মারে ৫২ রান করে। তার এই ইনিংসটি হতাশাজনকভাবে শেষ হয়, যদিও তিনি দুটি জীবন পেয়েছিলেন ১১ ও ৩০ রানের মাথায়।

এর পর ৬ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান পুরোপুরি চাপে পড়ে যায়। মোহাম্মদ নবি (১৭) ও রশিদ খান (১৪) বিদায় নেয়ার পর ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে চলে আসে এবং টাইগাররা সিরিজে সমতা ফিরে পায়।

নাসুমের বাজিমাত, সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ

এর আগে, বাংলাদেশ তাদের ইনিংসে দারুণ ধৈর্যশীল ব্যাটিং প্রদর্শন করে। নাজমুল হোসেন শান্ত একপেশে ইনিংস খেলে দলকে প্রতিষ্ঠিত করে, এবং শেষে জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদ দারুণ ক্যামিও ইনিংস খেলেন, যার ফলে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তোলে। তাদের এই সংগ্রহ ছিল আফগানিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জিং, এবং বাংলাদেশের বোলাররা সে সুযোগে ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উইকেট তুলে নেয়।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে, এবং এখন সবকিছু নির্ভর করছে ১১ নভেম্বরের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের ওপর।

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১১৯ বল খেলে ৬ চার এবং ১ ছক্কায় ৭৬ রান করেন, যা তার দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল। শান্ত একদিকে যেমন ইনিংসটি দৃঢ়ভাবে দাঁড় করান, অন্যদিকে শেষ দিকে জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংস বাংলাদেশকে ২৫২ রানে পৌঁছাতে সহায়তা করে। জাকের আলী ২৭ বল খেলে ৩ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৩৭ রান করেন, আর নাসুম ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৫ রান করেন, যা দলের জন্য প্রয়োজনীয় রান যোগ করে।

আফগানিস্তানের পক্ষে খারোতে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন, আর ২টি করে উইকেট নেন এএম গজনফর ও রশিদ খান। তবে তাদের বোলিংয়ের পরও বাংলাদেশ দলটি ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়।

এর আগে, প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হেরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে। ১১ নভেম্বর সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে, যেখানে বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার চমৎকার সুযোগ রয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url