বাংলাদেশের জাতীয় বিষয় Bangladesh national
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয় Bangladesh national
✨ এই জাতীয় বিষয়গুলো আমাদের গর্ব ও পরিচয়ের প্রতীক! 🌟 |
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয় এর তালিকা:
- বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ: আম গাছ
- বাংলাদেশের জাতীয় ফল: কাঁঠাল
- বাংলাদেশের জাতীয় ফুল: শাপলা
- বাংলাদেশের জাতীয় পাখি: দোয়েল
- বাংলাদেশের জাতীয় মাছ: ইলিশ
- বাংলাদেশের জাতীয় পশু: রয়েল বেঙ্গল টাইগার
- বাংলাদেশের জাতীয় বন: সুন্দরবন
- বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান: সোহরাওয়াদী উদ্যান
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা: সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত
- বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর: ঢাকা জাতীয় জাদুঘর (শাহাবাগ)
- বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ: বায়তুল মোকাররম মসজিদ
- বাংলাদেশের জাতীয় বিমানবন্দর: হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
- বাংলাদেশের জাতীয় খেলা: হা-ডু-ডু / কাবাডি
- বাংলাদেশের জাতীয় কবি: কাজী নজরুল ইসলাম
- বাংলাদেশের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস: ২৬শে মার্চ
- বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার: জাতীয় গ্রন্থাগার (গুলিস্তান)
- বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব: বাংলা নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ)
- বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়াম: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম
- বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ: সম্মিলিত প্রয়াস
- বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক: শাপলা
- বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা: মিরপুর চিড়িয়াখানা
- বাংলাদেশের জাতীয় পার্ক: শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
- বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত: "আমার সোনার বাংলা" (প্রথম ১০ চরণ)
- জাতীয় সংবাদ সংস্থা: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
- বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির: ঢাকেশ্বরী মন্দির
এগুলো বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতীয় প্রতীক এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ:
এখানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো:
১. জাতীয় সংসদের ভিত্তিপ্রস্তর কে স্থাপন করেন?
এখানে আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো:
৫৯. বাংলাদেশের সর্কেবশেষ রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর: ডঃ শিরিন শারমিন চৌধুরী।
৬০। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার নাম কি?
উত্তরঃ নোবেল বিজয়ী ডঃ মোহাম্মাদ ইউনুস
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারঃ
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকার। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি প্রতীকী কেন্দ্র ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে। এই সরকারকে সাধারণত মুজিবনগর সরকার বলা হয়, কারণ এটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে (পূর্বে বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া) গঠিত হয়েছিল।
নিচে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য:
১. অস্থায়ী সরকারের গঠন
- গঠিত: ১০ এপ্রিল, ১৯৭১
- শপথগ্রহণ: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
- প্রধান শহর: মেহেরপুর, মুজিবনগর
- অস্থায়ী সরকারের সদস্য সংখ্যা: ৬ জন
২. অস্থায়ী সরকারের সদস্যরা
- রাষ্ট্রপতি: শেখ মুজিবুর রহমান (দূতাবাসী)
- প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহম্মেদ
- অস্থায়ী/উপ রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম
- অর্থমন্ত্রী: এম. মনসুর আলী
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: এ এইচ এম কামরুজ্জামান
- আইন, সংসদীয় ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ
৩. অস্থায়ী সরকারের কাজ
- অস্থায়ী সরকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে কাজ করেছিল। এই সরকার দেশের ভিতরে এবং বাইরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য প্রচার করেছে।
৪. অস্থায়ী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম
- স্বাধীনতার ঘোষণা: ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়।
- জেনারেল ওসমানী: সেনা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন ১৮ এপ্রিল ১৯৭১।
- অস্থায়ী সরকারের সচিবালয়: ৮, থিয়েটার রোড, কলকাতা, ভারত।
৫. মুজিবনগর শহরের গুরুত্ব
- মুজিবনগর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এখান থেকে অস্থায়ী সরকার পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
- মুজিবনগরের পুরোনো নাম ছিল বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া, এবং এর নাম পরিবর্তন করে মুজিবনগর রাখা হয় তাজউদ্দিন আহম্মেদের উদ্যোগে।
৬. অস্থায়ী সরকারের সেনা প্রধান
- জেনারেল ওসমানী সেনা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সামরিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৭. অস্থায়ী সরকারের প্রথম বিমান বাহিনীর প্রধান
- ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার ছিলেন প্রথম বিমান বাহিনীর প্রধান।
৮. অস্থায়ী সরকারের প্রথম গার্ড অনার
- মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) অস্থায়ী সরকারের প্রথম গার্ড অনার প্রদান করেন।
অস্থায়ী সরকার স্বাধীনতার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে এবং এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অমর স্থান অধিকারী।
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সমূহঃ
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সমূহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং ঘটনাগুলোর স্মরণে পালিত হয়। এই দিবসগুলো দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্বাধীনতার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এখানে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় দিবসগুলো তালিকাভুক্ত করা হলো:
১. ১ জানুয়ারি - নতুন বছরের শুভেচ্ছা দিবস
- নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে পালন করা হয়। এটি একটি উৎসবমুখর দিন, যেখানে নতুন বছরের শুরুর আনন্দ এবং সমৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হয়।
২. ২১ ফেব্রুয়ারি - শহীদ দিবস / আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
- ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ না করার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করেছিল। শহীদ দিবস পালনের মাধ্যমে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি পালিত হয়।
৩. ১৭ মার্চ - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন
- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন বাংলাদেশের জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর অসীম অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
৪. ২৬ মার্চ - স্বাধীনতা দিবস
- ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়, এবং সেই দিন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম দিন হিসেবে পালন করা হয়।
৫. ১ মে - মে দিবস
- শ্রমিকদের অধিকার এবং উন্নতির জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ১ মে পালন করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এই দিনটি উদযাপন করে তাদের দাবি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
৬. ১৬ ডিসেম্বর - বিজয় দিবস
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বিজয় দিবস বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন হিসেবে পালিত হয়, যা দেশের স্বাধীনতা এবং আত্মমর্যাদার প্রতীক।
৭. ৩১ অক্টোবর - জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস
- ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই সেনাবাহিনীর কিছু অংশ একটি অভ্যুত্থান ঘটায়।
৮. ১২ আগস্ট - জাতীয় শোক দিবস
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার শোকের দিবস। প্রতি বছর এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যাতে জাতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়।
৯. পহেলা বৈশাখ - বাংলা নববর্ষ
- ১৪ এপ্রিল বাংলা সনের প্রথম দিন হিসেবে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। এটি বাংলা নববর্ষ হিসেবে ব্যাপক আড়ম্বরে উদযাপিত হয় এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।
১০. ২৫ মার্চ - গণহত্যা দিবস
- ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী "অপারেশন সার্চলাইট" শুরু করেছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ছিল। এই দিনটি পালিত হয় বাংলাদেশের জাতি সেই শোকের মুহূর্ত এবং গণহত্যার স্মৃতি রাখতে।
এই জাতীয় দিবসগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, জাতিগত ঐক্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সমাজের উন্নতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে।